রূপময়ী মা। |
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ মহাশিবরাত্রি। দেশজুড়ে ধুমধাম করে পালন করা হয় এই দিনটি। ইচ্ছাপুরণের আশায় অসংখ্য মানুষ এদিন সাধ্য অনুযায়ী নৈবেদ্য সাজিয়ে শিবের পুজো করেন। প্রহরে প্রহরে চলে রুদ্রাভিষেক। কলকে, আকন্দ, ধুতুরা ইত্যাদি ফুলে সাজানো হয় মহাদেবকে। আয়েজনের কোনও ত্রুটি রাখেন না ভক্তরা। কিন্ত নিজেদের অজান্তেই কখনও কখনও অসম্পূর্ণ রয়ে যায় শিবার্চনা। ডেকে আনেন বিপদ। নিরাহারে অভিষেকের পরেও সুফল পাননা ভক্তরা। মনের বাসনা তো পূরণ হয়ই না। বরং পদে পদে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ভক্তকে।
কীভাবে পুজো করলে যাবতীয় সমস্যা কেটে যাবে ও অভীষ্ট ফল লাভ হবে সেই পথের দিশা দেখিয়ে জ্যোতিষী রূপময়ী মা জানিয়েছেন ভগবান শিবকে সব সময় গোটা ফল নিবেদন করতে হয়। যাকে বলে অখণ্ড ফল নৈবেদ্যম। আর যাবক নৈবেদ্য ছাড়া শিবপুজো অসম্পূর্ণ থাকে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধু শিবরাত্রি নয়, শ্রাবণ মাসের শিবপুজোও যাবক নৈবেদ্য ছাড়া সম্পূর্ণ হয়না।
ভক্তদের রুদ্রাভিষেক। |
কী এই যাবক নৈবেদ্য? রূপময়ী মা জানান, পাকা বেলের বীজ বেছে নিয়ে তার সাথে গোবিন্দভোগ চাল ধুয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর তাতে চিনি বা গুড় দিয়ে মেখে নিলেই তৈরি যাবক নৈবেদ্য। এই নৈবেদ্য ছাড়া মহাদেবের পুজো হয় না। অভিষেকের পর শিবলিঙ্গের সামনে গোটা ফল, মিষ্টি ও যাবক নৈবেদ্য নিবেদন করতে হবে বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি কোন প্রহরে কোন মন্ত্রে শিবের পুজো করতে হবে সে বিষয়েও বিশদে জানান জ্যোতিষী রূপময়ী মা। তিনি বলেন, প্রথম প্রহরে দুধ দিয়ে রুদ্রাভিষেক করতে হবে। সাথে নমো হৌম ঈশাণায় নমো মন্ত্র জপ করতে হবে। দ্বিতীয় প্রহরে দই দিয়ে রুদ্রাভিষেক করতে হবে। সাথে নমো হৌম অঘোরায় নমো মন্ত্র জপ করতে হবে। তৃতীয় প্রহরে ঘি দিয়ে রুদ্রাভিষেক করতে হবে। সাথে নমো হৌম বামদেবায় নমো মন্ত্র জপ করতে হবে। এবং চতুর্থ প্রহরে মধু দিয়ে রুদ্রাভিষেক করতে হবে। সাথে নমো হৌম সদ্যজাতায় নমো মন্ত্র জপ করতে হবে।