ওড়িশার মন্ত্রী গাড়ি থেকে নামতেই সাব ইন্সপেক্টরের গুলি! ভিডিও ভাইরাল

নব কুশোর দাসকে (Naba Kisore Das) গুলি (Shot at) করার মুহূর্ত। ছবি: টুইটারের ভিডিও থেকে নেওয়া 

সংবাদ সংস্থা, ঝাড়সুগুড়া: ওড়িশার (Odisha) স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী নব কিশোর দাসকে (Naba Kishore Das) দিনে দুপুরে জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি (Shot at) করে খুনের চেষ্টা। গোপাল দাস নামে এক ওড়িশা পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টর তাঁকে গুলি করে বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মন্ত্রী। আপাতত তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। কী কারণে গুলি, তা স্পষ্ট নয়। 

ওড়িশা পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ঝাড়সুগুড়া জেলার ব্রজরাজনগরে একটি জন-অভিযোগ কেন্দ্রের সূচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী নব কিশোর। সেখানে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামার মুখেই তাঁকে লক্ষ্য করে ২টি গুলি করা হয়। ওড়িশা পুলিশের এস আই গোপাল দাস তাঁকে গুলি করেন বলে অভিযোগ। মন্ত্রীকে ওই গাড়িতে করেই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের পর তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

আরও পড়ুন: ফেসবুকে প্রেম, সুইডেন থেকে উড়ে এসে উত্তরপ্রদেশের যুবককে বিয়ে সুইডিশ কন্যার

ঘটনার সময়কার একটি ভিডিও ছড়িয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রী গাড়ির দরজা খুলতেই সেখানে জড়ো হওয়া কর্মীরা স্লোগান দিচ্ছেন। তার মধ্যেই আচমকা গুলির শব্দ। সঙ্গে সঙ্গে হইচই, চিৎকার-চেঁচামেচি। অন্য একটি ভিডিওতে অভিযুক্ত এসআই গোপাল দাসকেও দেখা গিয়েছে। ব্রজরাজনগরের মহকুমা পুলিশ অফিসার গুপ্তেশ্বর ভই সাংবাদিকদের বলেন, গোপাল দাসকে স্থানীয়রা ধরে ফেলেন। তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। 

ঘটনায় দু:খপ্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। টুইটারে তিনি লিখেছেন, দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি এবং তাঁর (নব কিশোর) দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ক্রাইম ব্রাঞ্চকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে কী কারণে ওই সাব ইন্সপেক্টর গুলি চালালেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। নব কিশোরের অনুগামীদের দাবি, মন্ত্রীকে খুন করার চক্রান্ত করতে গুলি চালানো হয়েছে। যদিও ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ থেকে গোপাল দাস গুলি চালিয়েছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। অন্য দিকে এই ঘটনার পরই ব্রজরাজনগরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন মন্ত্রীর অনুগামীরা। এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।