৯টি গ্রহের মধ্যে সপ্তম গ্রহ হল শনি। এই গ্রহ খুব ধীর চলমান। অনেকেই বলেন শনির কুদৃষ্টি জীবনে বিভিন্ন রকম অশুভ ফল নিয়ে আসে এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাই প্রতি শনিবার নিরামিষ আহার করে শনিঠাকুরের পুজো করেন অনেকে। অনেকে আবার বলেন,মন্দিরে গিয়ে শনিদেবের চোখের দিকে তাকিয়ে প্রণাম করলেই তাঁর কুদৃষ্টি পরার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র শনিদেবের ঘটের দিকে তাকিয়ে মাথা নত করে প্রণাম করলে দেবতা তুষ্ট হন বলে মনে করেন তাঁরা। এই সব নানান কারণে কেউ কেউ ভয়ে শনিমন্দিরে যেতে চান না। কিন্তু মৎস পুরাণ অনুযায়ী শনিঠাকুরকে বলা হয় কর্মফল দাতা। বলা হয়, মানুষ নিজের কর্ম ঠিক রাখলে শনিদেব তুষ্ট থাকেন। বরং কিছু ক্ষেত্রে শনিদেবকে লোকহিতকর গ্রহের তালিকাতে ফেলে মৎস পুরাণ।
তবু শনির সাড়ে-সাতী, ঢাইয়া বা মহাদশা চললে বেশ কিছু লক্ষণ নজরে পড়ে। যেমন-
১) দীর্ঘ রোগ ভোগ করা
২) কোনও কাজে সাফল্য না পাওয়া
৩) ছাত্রদের পড়াশোনায় মনোয়োগ না থাকা
৪) বারবার জুতো ছিঁড়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া
৫) অর্থ সঞ্চয় করতে না পারা
৬) হাজতবাস হওয়া
কিন্তু জ্যোতিষ সম্রাজ্ঞী অ্যাস্ট্রো প্রিয়াঙ্কা জানান শনিদেবকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যাঁরা শনিমন্দিরে যেতে ভয় পান, তাঁদেরও কোনও চিন্তা নেই। শিব পুজো করলেই খুশি হন শনিদেব। তাই সহজ উপায় শনিদেবের কুপ্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেন আপনি। জ্যোতিষ সম্রাজ্ঞীর পরামর্শ হল:
১) অল্প একটু মধুতে লজ্জাবতী গাছের পাতা চুবিয়ে শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই শনির কুপ্রভাব কেটে গিয়েছে।
যদি লজ্জাবতী গাছের পাতা জোগাড় করতে অসুবিধা হয়, তাহলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। রয়েছে আরও প্রতিকার।
২) বাড়িতে গঙ্গাজল থাকলে, তাতে কালো তিল দিয়ে শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন। এতে শনির দৃষ্টি বা শনির সাড়ে-সাতি, মহাদশা থেকে মুক্তি পাবেন।
৩) সাতটা গোলমরিচ ও অল্প কালো তিল শিবলিঙ্গে নিবেদন করুন। দেখুন খবু তাড়াতাড়ি সুফল পাবেন।
৪) শিব লিঙ্গে সর্ষের তেল অর্পণ করতে পারলেও ভাল ফল পাবেন।
(প্রতিকার জানাচ্ছেন জ্যোতিষ সম্রাজ্ঞী অ্যাস্ট্রো প্রিয়াঙ্কা। ফোন নম্বর: 8272905049/ 9836915992। মতামত জ্যোতিষীর নিজস্ব।)