চিনের রহস্য-বেলুনকে গুলি করে নামাল আমেরিকা, কী পাওয়া গেল ভিতরে?

চিনের রহস্য-বেলুনকে (Chinese Spy Balloon) গুলি করে নামানোর মুহূর্ত। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

সংবাদ সংস্থা, ওয়াশিংটন: রহস্যময় চিনা বেলুনকে (Chinese Spy Balloon) গুলি করে নামাল (Shot Down) আমেরিকা (USA)। আটলান্টিক মহাসাগরের (Atlantic Ocean) উপরে যেতেই গুলি করে ধ্বংস করা হয় বেলুনটিকে। বিমানের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহের কাজ চলছে আটলান্টিক মহাসাগরে। ভিতরে কী কী ছিল, তা পরীক্ষা করে দেখবে আমেরিকা। 

শনিবার যদিও পেন্টাগন দাবি করেছিল, বেলুনটি গুলি করে নামানোয় ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, প্রায় ৪টি বাসের সমান বিশালাকার বেলুনের মধ্যে কী বস্তু রয়েছে, তা না জেনে গুলি করে নামালে এবং জনবহুল এলাকায় ধ্বংসাবশেষ পড়লে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আটলান্টিক মহাসাগরের উপরে যেতেই বেলুনটি গুলি করে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাইডেন প্রশাসন। সফলভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া বেলুন ধ্বংসের পর মার্কিন বিমানবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। 

কিন্তু বেলুনের ভিতরে কী ছিল, তা নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে রহস্য। আমেরিকা আগেই দাবি করেছিল, বেলুনের ভিতের সেন্সর ছিল। তা ছাড়া বিভিন্ন স্পর্শকাতর সামরিক কেন্দ্রের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল। সেই কারণেই শেষ পর্যন্ত গুলি করে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন: আমেরিকার আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে রহস্যময় চিনা বেলুন! কী আছে ভিতরে? বেড়েই চলেছে কৌতূহল

বেলুন ধ্বংসের ছবি, ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিশালাকার বেলুনটিতে গুলি লাগতেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় আকাশে। বেলুনের টুকরোগুলি ধীরে ধীরে নীচের দিকে নেমে আসতে থাকে। প্রচুর ধাতব বস্তুও ছিল বেলুনের ভিতরে। প্রচুর টুকরো ছড়িয়ে পড়ে আটলান্টিক মহাসাগরের জলে। নীচে প্রস্তুত ছিল জাহাজ। ধ্বংসাবশেষ নীচে পড়তেই সেগুলি সংগ্রহের কাজ শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। 

কিন্তু বেলুন ধ্বংসের জেরে বেজায় ক্ষুব্ধ চিন। বেজিং আগেই দাবি করেছিল, আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহের জন্য বেলুনটি পাঠানো হয়। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথ ভুলে বিমানটি চলে যায় আমেরিকার আকাশে। ঘটনার জেরে বেজিং-ওয়াশিংটন টানাপোড়েন শুরু হয়। দু’দিনের চিন সফর বাতিল করে দেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তার পরও চিন বিবৃতি দিয়ে জানায়, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা মেটানো সম্ভব। কিন্তু আলোচনার পথে না গিয়ে গুলি করে বেলুন ধ্বংস করায় উষ্মা বেড়েছে শি জিনপিং প্রশাসনের।