অর্থ, যশ, প্রতিপত্তি সব আসবে, শিবরাত্রিতে ঘরে আনুন এই বিশেষ শিবলিঙ্গ

পারদের শিবলিঙ্গ।

সামনেই শিবরাত্রি। পঞ্জিকা মতে আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রির ব্রত পালনের দিন। শুধু বাংলাতেই নয়, সারা ভারতে এই শিব পুজো বা মহাশিবরাত্রির ব্রতর প্রচলন আছে। যে কোনও মাসের চতুর্দশী তিথিকেই শিবরাত্রি বলা হয়। তাই হিসেবমতো বছরে বারোটি শিবরাত্রি আসে। কিন্তু সব চেয়ে বেশি গণ্য, পবিত্র ও ফলদায়ক মনে করা হয় ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথির শিবরাত্রিকে। তাই দেশ জুড়ে কোটি কোটি মানুষ এই রাতে ভগবান শিবের পুজো করে থাকেন। শিব-পুরাণ অনুযায়ী এক বছর নিরন্তর পুজো করলে যে ফল লাভ হয়, শিবরাত্রির চার প্রহরে নিরাহারে নিজের ক্ষমতা অনুসারে শিব পুজো করলে একই ফল লাভ করতে পারেন ভক্ত। 

জ্যোতিষ সম্রাজ্ঞী অ্যাস্ট্রো প্রিয়াঙ্কা জানান, হিন্দু ধর্মে যত ব্রত রয়েছে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্রত হল শিব চতুর্দশী বা মহাশিবরাত্রি ব্রত। এই ব্রত পালনে ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ লাভ হয়। তবে শিবরাত্রিতে পারদ শিবলিঙ্গ স্থাপন করতে পারলে ভক্তের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয় বলে মনে করেন তিনি। অ্যাস্ট্রো প্রিয়াঙ্কা বলেন, শিবরাত্রির দিন যদি নিষ্ঠাভরে পারদের শিবলিঙ্গ স্থাপন করা যায় অথবা  গৃহে স্থাপনের উদ্দেশ্যে  নাম গোত্র দ্বারা শিবলিঙ্গের অভিষেক, প্রাণ প্রতিষ্ঠা, পুজো, করানো হয় তবে অবশ্যই  জীবনের সব চাওয়া পাওয়া পূরণ হবে।

পারদ শিবলিঙ্গ স্থাপনের আরও অভিষ্ট ফল লাভের কথা নির্দিষ্ট করে জানিয়েছেন জ্যোতিষ সম্রাজ্ঞী। তাঁর মতে পারদ শিবলিঙ্গ স্থাপন করলে:

১। যে কোনও তান্ত্রিক প্রভাব দূর হবে।

২। বাস্তুদোষ নাশ হবে।

৩। ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যা লাভ হবে ও বিদ্যায় অমনোযোগিতা দূর হবে।

৪। সকল প্রকার অনিষ্ট ও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

৫। শনির পীড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৬। দুষ্ট ও ক্ষতিকারক গ্রহ পীড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৭। কালসর্প দোষের পীড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৮। অসাধ্য রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৯। যে কোনও মনের ইচ্ছা পূরণ হবে। এমনকি বিবাহে বাধা দূর হবে।

১০। মারক দশা বা অষ্টম, দ্বাদশ পতির দশা থেকে রক্ষা পাবে। চার্টে ষষ্ঠ, অষ্টম, দ্বাদশ পতির অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

১১। নীরোগ জীবন লাভ হবে।

১২। পারদ শিবলিঙ্গের অবস্থান যেখানে হয় সেখানে সিদ্ধি-সহ মহালক্ষ্মী অবস্থান করেন। 

(মতামত জ্যোতিষীর নিজস্ব।)